এই মসজিদটি হোমনা উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া গ্রামে অবস্থিত। এটি আনুমানিক ১০৫ বছর পূ্র্বে উক্ত গ্রামের নাগর আলী হাজী নামে এক ব্যক্তি প্রতিষ্ঠা করেন। মুক্তিযুদ্ধে এ মসজিদটি মুক্তি বাহিনী তাদের ক্যাম্প হিসাবে ব্যবহার করেছিল। সারা দেশ ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে স্বাধীন হলেও বড় ঘাগুটিয়া স্বাধীন হয় ২৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে। আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ শেষের এক সপ্তাহ কেটে গেলেও উপজেলার ঘাগুটিয়া গ্রামে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল যুদ্ধ চলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৪ ডিসেম্বর সকালে পাক হানাদার বাহিনীর একটি বড় দল লঞ্চ ও পায়ে হেঁটে বাঞ্ছারামপুর থেকে তিতাস নদী সংলগ্ন ঘাগুটিয়া উত্তর পাড়া মসজিদে বাঙ্কার স্থাপন করে।
মুহূর্তে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে হোমনা উপজেলা সদরে অবস্থিত মুক্তিবাহিনীর কাছে। আশপাশের সব এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা সেখানে উপস্থিত হলে টানা এক সপ্তাহ যুদ্ধ হয়।
সূত্র মতে, পাক বাহিনী ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বর ঘাগুটিয়া গ্রামের ১৩১টি ঘরে আগুন দেয়। এ সময় ওই গ্রাম ও পাশ্ববর্তী কাউয়ার টেক, ভবানীপুর গ্রামের অন্তত ১৮ জন নিরস্ত্র নারী পুরুষ শহীদ হন।
পরে মিত্রবাহিনীর কাছে এ খবর পৌঁছালে ঘাগুটিয়ায় তারা ২৩ ডিসেম্বর ঘাগুটিয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যোগ দেয়। পরাজিত ১৩১ জন পাকসেনা এ সময় আত্মসমর্পন করে। পাক হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয় হোমনা উপজেলা।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS